উপন্যাস - দুর্গেশনন্দিনী
লেখক - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
ত্রিকোণ ভালোবাসার গল্পগাঁথা,একুশ শতাব্দীতে অহরহ দেখা যায়,তবে ঊনিশ শতকে এমন কাহিনী হৃদয় স্পর্শে সক্ষম। তিলোত্তমা, রাজকুমার জগৎসিংহ,পাঠান নবাবকন্যা কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে গল্পটি।হঠাৎ এক সন্ধ্যায় তিলোত্তমা আর জগৎসিংহের প্রনয়,শত্রুকন্যার প্রেমে পড়া থেকে শুরু করে বিবাহ পর্যন্ত আয়েষা,বিমলা,বীরেন্দ্রসিংহ হাজারো চরিত্র ঘিরে রেখেছে উপন্যাসটিকে।
উপন্যাসের প্রথম অংশে প্রথম প্রেমে পড়ার অনুভূতি অনুভব করতে পারবে পাঠকগণ,প্রেমিক প্রেমিকার নয়নে নয়নে বার্তাবিনিময় এর প্রেম স্পর্শ ও রোদন অনুভুত হবে।দ্বিতীয় অংশে গিয়ে হত্যাকাণ্ড,স্বামীভক্তি ও অবলা নারীর পরম সাহসি কান্ড ও চরিত্র পাঠকের মনে দাগ কাটতে বিশেষ ক্ষমতা রাখে।এক পর্যায়ে গল্পের নায়কের প্রতি পাঠকের ঘৃণা তৈরী হবে আবার আচিরেই তা লাঘব হবে।তবে একটি চরিত্র নায়িকা কিংবা বালিকা না হয়ে ও অন্তরে নায়িকার তুলনায় বেশি আঘাত হানবে।
ঊনিশ শতকে যারা নারীদের অবলা হিসেবে উপস্থাপন করতো,বঙ্কিম তার উপন্যাসে অবলা রমণীর আড়ালে এমন সাহিকা চরিত্র স্থাপন করে সমাজের কাছে শব্দহীন সতর্কবাণী প্রেরণ করেছেন।
নারীর উপাধি "ছলনাময়ী", লেখক নীরব ভাষায় এর যথার্থ উত্তর করেছেন।
উপন্যাসে দুর্গেশনন্দিনী কে তা রহস্য ই থাকুক।
রিভিউ- সাবরিনা সালাম
ইংরেজি বিভাগ [১৮(এ)]
No comments:
Post a Comment